রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন নীতিগত অনুমোদন

যে আইনের অধীনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় চলবে, তার খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2015, 10:28 AM
Updated : 11 May 2015, 11:36 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন, ২০১৫’এর খসড়ার এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই খসড়া মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ মে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ‘বাস্তবায়িত হল’ বলে মন্তব্য করেন সচিব।

তিনি বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাস থাকবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি ও দর্শন এবং বিশ্ব সংস্কৃতি নিয়ে। তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল রবীন্দ্রচর্চা বা ভাষা-সাহিত্যচর্চার কেন্দ্র হবে না, পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি থাকবে। কলা, সংগীত চারুকলা, নাট্যকলা, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি ও সমবায়, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ফ্যাকাল্টিও থাকবে।”

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দেশের অন্যান্য রাষ্ট্রায়াত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই হবে।

“তবে স্বাভাবিকভাবেই এখানে কলা, সংগীত, নৃত্য, চারুকলা ও নাট্যকলা গুরুত্ব পাবে।”

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ইশতেহারে বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায়

গত ৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পত্র দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (্ইউজিসি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সরকারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হবে দেশের ৩৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে এর অর্থায়ন করবে বলে জানা গেছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বাবার জমিদারির দেখাশোনা করতে ১৮৯০ সালে শাহজাদপুরে আসেন। সে সময়  শাহজাদপুর কাচারিবাড়িতেই তিনি অবস্থান করেন।