ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থছাড় না করার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ চার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 24 Mar 2015, 11:05 PM
২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে ভোটের দিন রেখে ১৮ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারিভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ বা আর্থিক অনুদান ছাড় করা যাবে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে শিগগির চিঠি দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ইসির যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালে ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড বিতরণসহ সব ধরনের উন্নয়ন বরাদ্দ ও আর্থিক অনুদান ছাড় করা যাবে না। কারণ সরকারিভাবে এসব বিতরণ করা হলে তা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হবে।
সিটি করপোরেশন এলাকায়ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থছাড়ের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আচরণবিধিতে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় বা প্রদান করতে পারবেন না।
সরকারি সুবিধাভোগীদের নিষেধাজ্ঞা
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনী আচরণবিধিতে কিছু ব্যক্তির নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হু্ইপ, সরকারের কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদার সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভোটার হলেই শুধু ভোট দিতে নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারবেন। তবে নির্বাচনী কজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, যানবাহন ও সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারিকে ব্যবহার করতে পারবেন না।
নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত সময়কে নির্ধারণ করেছে ইসি।