রাত ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের কয়েক মিনিট পরই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলাভাষী মমতা।
বললেন, “হৃদয়ের মধ্যে একটা আলোড়ন হচ্ছে। এটা কথায় বলে বোঝানো যাবে না। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”
এর আগে রাত রাত পৌনে ১২টার দিকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে শহীদ মিনারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গাড়ি থেকে নেমে বুকের কাছে দু’হাত জোড় করে মূল বেদির বাম পাশে গিয়ে এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।
এরপর শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জন্য অপেক্ষা করেন। রাষ্ট্রপতি পৌঁছানোর পর তাকে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মূল বেদি থেকে নিচে গিয়ে দাঁড়ান শেখ হাসিনা। এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আসে মমতার পালা।
রাত ১২টা ৭ মিনিটে মমতা তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সোজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে হাঁটা শুরু করেন। মমতাও এগিয়ে আসেন শেখ হাসিনার দিকে। তারা হেসে কুশল বিনিময় করেন। প্রায় দু’মিনিটের মতো তাদের মধ্যে চলে কথোপকথন।
এরপর শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তার বহরের দিকে রওনা হতেই উপস্থিত সাংবাদিকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরেন।
এসময় মমতা বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। আমরা ওপার বাংলায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করি। আমি যখন এমপি ছিলাম। তখন একটা স্মারক তৈরি করেছিলাম। সেটা প্রতি বছর আমরা সেলিব্রেট করি।”
“আমরা সরকারের আসার পর… বাংলাদেশের মতো এই রকম একটা কালকে আমি উদ্বোধন করে এসেছি। আমরা যোগেন চৌধুরীকে দিয়ে একটা স্কাল্পচার তৈরি করছি।”
সকল ভাষাভাষী মানুষ এই দিনটিকে স্মরণ করে উল্লেখ করে মমতা বলেন, “এখানে উপস্থিত থেকে, এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকা আমাদের হৃদয়ে আবেগ সঞ্চার করে। ফিরে আসা দিনগুলোকে ফিরে দেখতে সাহায্য করে।”
একুশে ফেব্রুয়ারি সমস্ত ভাষার মানুষের মাঝেই গর্বের সঞ্চার করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে যান তিনি।