উপজেলা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ইসি

বছর শুরু জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। হয়েছে উপজেলা ভোটও। তবে ভোটের চিত্রে ‘ভাটা’ আর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বছর ধরেই সমালোচনার বাণে ছিল নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2014, 03:30 PM
Updated : 31 Dec 2014, 03:30 PM

এর মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেকর্ড সংখ্যক প্রতিনিধির নির্বাচিত হওয়া, উপজেলা ভোটে ব্যাপক ‘কারসাজি’ এবং দীর্ঘ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান ছিল মোটাদাগে চোখে পড়ার মতো। 

পাঁচ সদস্যের এই সংস্থাকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে কয়েকটি আসনে উপনির্বাচনে সরকার দলীয় তিন সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায়।

এ ধরনের নানা অভিযোগে বিএনপি ও এর শরিকরা সরকারের ‘আজ্ঞাবহ ও মেরুদণ্ডহীন’ বলে আখ্যায়িত করলেও বছরের মূল্যায়নে ‘আমরা পেরেছি’ এমন মন্তব্য সংস্থাটির।

তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর শরিকদের নির্বাচন বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় সংসদ নির্বাচন। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ছয় ধাপে উপজেলায় চলে ভোট।

জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।
এরপরও বিএনপির নির্বাচন বর্জনের মুখে দেশজুড়ে গোলযোগ-সহিংসতার মধ্যে বাকি ১৪৭ আসনে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে।

অবশ্য বিএনপি শুরু থেকেই বলছে, পাঁচ শতাংশ ভোটও পড়েনি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও কঠোর সমালোচনায় মুখর ছিল ইসির।

সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসনের আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের মনিরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ উপ নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।

এসব বিষয়ে কথা হয় কমিশনার জাবেদ আলীর সঙ্গে।

কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “এ বছরে অনেকগুলো নির্বাচন ছিল। কমিশনের উপরে অর্পিত দায়িত্বগুলো আমরা পালন করেছি। কমিশন সব সময় সচেষ্ট ছিল, সংবিধান সমুন্নত রেখে যেন দায়িত্ব শেষ করা হয়। ইসি সেটা পেরেছে।”

দশম সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক কিছু মোকাবেলা করতে হয়েছে। বছরটা তাই বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

৫ সদস্যের বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি। সাংবিধানিকভাবে নতুন ইসির অধীনে ২০১৯ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে বছরের আলোচিত আরেকটি ঘটনা হলো ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত।

এমনকি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।