রোজার ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সড়ক বিভাগের সবাই ‘সাধ্যমতো’ চেষ্টা করছেন জানিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী ঈদে আর যানজটের কারণে সমস্যা হবে না।
Published : 22 Jul 2014, 01:16 PM
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেইট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আমাকে বলুন, গত সাত দিনে কোন রাস্তাটা বন্ধ ছিল, কোন মহাসড়কে যানজট ছিল?”
কাদের বলেন, ঢাকার সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে না হলেও যানজট হলে তার দায় মন্ত্রী হিসাবে তাকেই নিতে হয়।
“আমি তামাশা করি না।… যানজট হলে আমি দায় এড়াতে পারি না।”
মন্ত্রী আশ্বাস দেন, “আগামী ঈদে রাস্তা নষ্ট থাকার কারণে আর যানজটের সমস্যায় পড়তে হবে না।"
রোজার ঈদ সামনে রেখে গত ১১ জুলাই এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় রাজধানীসহ সারাদেশের সব সড়ক-মহাসড়ক ২০ জুলাইয়ের মধ্যে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন যোগাযোগমন্ত্রী কাদের।
ওই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, সারা দেশে ‘২০ পার্সেন্ট’ কাজ বাকি আছে, যা ‘দুই-এক’ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
আপাতত ‘জোড়াতালি দিয়ে’ চলতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অবৈধ মোটরসাইকেল ধরতে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখতে মঙ্গলবার ফার্মগেইটে আসেন যোগাযোগ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “রাতারাতি কোনো তুঘলকি কাণ্ড ঘটানো যাবে না। তারপরও সড়কে যাতে কাগজপত্র ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে সে দিকে বিআরটিএ খেয়াল রাখবে।
কাদের জানান, রাজধানীর সড়কে বহু মোটরসাইকেল চলাচল করছে, যেগুলোর নিবন্ধন নেই। এসব বাহনের নিবন্ধন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“সীমান্ত থেকে কম দামে মোটর সাইকেল আসছে, যার অধিকাংশেরই কোনো কাগজপত্র থাকে না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভবিষ্যতে গাড়ি আমদানি ও নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেয়ার বিষয়েও আমরা ভাবছি।”
ঈদ সামনে রেখে যানজট নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর প্রবেশ মুখগুলোতে চলাচল নির্বিঘ্ন করার ওপর জোর দেবেন তারা।
তিনি বলেন, “কোনো রাস্তা ফুল বিছানো- এটা আমি বলব না, তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।”