একটি প্রতারণার মামলা খারিজের আবেদেন ‘প্রতারণা’ করার অভিযোগে সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
তদন্ত করে মুহাম্মদ বিন কাশেম ওরফে সালমান এবং আহমদ বিন কাশেমের বিরুদ্ধে ১০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে।
আদালত একইসঙ্গে প্রতরারণার ওই মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ওই মামলায় মুহাম্মদ বিন কাসেম আসামি এবং তার আইনজীবী আহমদ বিন কাসেম।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, একটি প্রতারণার মামলায় জামিন না থাকা সত্ত্বেও রোববার মামলা খারিজে আবেদন করেন মুহাম্মদ বিন কাসেম। জামিন না থাকলে এই ধরনের আবেদন করা যায় না।
“মুহাম্মদ বিন কাসেমের পক্ষে তার আপন ভাই আহমদ বিন কাসেম গত ২৪ এপ্রিল একটি হলফনামা দিয়ে তার ভাই জামিনে রয়েছেন বলে জানান। অথচ এর আগেরদিন সিএমএম আদালত তার জামিন বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিল।”
তবে শুনানিতে আসামির পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, “এ বিষয়টি খুবই ছোট একটি ভুল। এটাকে এত বড় করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।”
গত বছরের ১১ নভেম্বর প্রতারণার মাধ্যমে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আশরাফুল হক নামে এক ব্যক্তি মীর কাসেমের ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ইডেন লাইন লিমিটেডের নামক একটি প্রতিষ্ঠানের নামে তেলবাহী জাহাজ কেনার জন্য বাদী আসামিদের সঙ্গে দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। ওই টাকায় কেনা জাহাজ নিয়মিত আন্তর্জাতিক রুটে চালিয়ে ব্যবসা করলেও প্রতিশ্রুতি অনুসারে লাভ বা কোম্পানির পরিচালক পদ দেননি। বাদীর চাপে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন।