রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশালে ছিনতাইয়ের পর টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে জাকারিয়াকে মাইক্রো বাসসহ আটক করা হয়।
তার দেয়া তথ্যে স্ত্রী স্বপ্নাকে (২৩) আটক করা হয় বলে টঙ্গী মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আলমগীর গাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
স্বপ্নাকে আটক করা হয়েছে টঙ্গীর গাজীপুরার সিকদারপাড়ার একটি বাড়ি থেকে। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরশা থানার বাইকাপাড়ায়।
পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর বলেন, বিকাল সোয়া ৩টার দিকে গাজীপুরার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাকারিয়ার স্ত্রী স্বপ্নাকে আটক করা হয়।
“এ সময় তার কাছ থেকে কিছু জিহাদি বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মডেম, পেনড্রাইভ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড, পাঁচটি মোবাইল ফোন, দুইটি গাড়ির ব্লু-বুক জব্দ করা হয়।”
স্বপ্নাকে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার সকাল ১০টার দিকে ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা মেরে ও গুলি চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি, রাকিবুল হাসান এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এরপর টাঙ্গাইলে ধরা পড়েন রাকিবুল। তার সঙ্গে থাকা রায়হান নামে আরেকজনকে আটক করা হয়।
এর আগেই টাঙ্গাইল হয়ে পালানোর সময় জঙ্গিদের বহনকারী গাড়ির চালক জাকারিয়া ওরফে মিলনকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এনিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হল।
প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে কনস্টেবলকে হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি এবং পুলিশ আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ইতোমধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে গাজীপুর পুলিশ।
একজন ধরা পড়লেও পলাতক বাকি দুই জঙ্গিসহ পুলিশের গাড়িতে হামলাকারীরা যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। তিন জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।