জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Published : 18 Feb 2014, 02:10 PM
মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক তার সাক্ষ্য নিয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন রাখেন ।
এদিকে এ হত্যা মামলার ছয় আসামির জামিন বাতিলের বিষয়ে এদিন আদেশ দেয়ার কথা থাকলেও বিচারক তা পিছিয়ে দেন।
এ নিয়ে নিহতের ভাই মামুন ও ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশুলি এস এম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে উষ্মা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার আসামি রাশেদুল, কামরুজ্জমান ও জাহিদ হাসান আদালতে না আসায় তাদের পক্ষে সময় চাওয়া হয়। বার বার অনুপস্থিত থাকায় তাদেরও জামিন বাতিলের জন্য শুনানি গ্রহণ করে আদালত।
জুবায়ের আহমেদ (ফাইল ছবি)
ওই হুমকির জের ধরে ৬ ফেব্রুয়ারি ছয় আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেন বিচারক।
ওই আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইস, জাহিদুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরুপ ও রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম ।
জামিন বাতিলের আবেদন শুনানির জন্য গত বুধবার দিন থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনে তা একদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন রেখেছিল আদালত।
প্রায় দুই বছর আগে এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একপক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের কর্মী ও ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ নিহত হন।
জুবায়ের হত্যার পর খুনীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হত্যায় জড়িতদের মদদদাতা হিসেবে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। ওই আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীর।
হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৩৭তম ব্যাচের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ।
আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রিয়াজ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরুপ ও রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম, ইতিহাস বিভাগের মাহমুদুল হাসান ও মাজহারুল ইসলাম, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের নাজমুল হাসান প্লাবন।