জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
Published : 13 Aug 2013, 08:33 PM
দেড় বছর আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এসে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ পাঠানো হয়েছে।
ওই আদালতের পিপি এস এম রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার এ আদালতে মামলাটির শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবেন বিচারক এবিএম নিজামুল হক।
মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, গত ৪ জুলাই ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। তবে ওই আদালত কোনো আদেশ দেয়নি।
পিপি রফিক বলেন, “মামলার আসামিদের হাজির হতে একটি আবেদন করা হবে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিচারকাজ।”
এই মামলার ১৩ আসামির সবাই হাই কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। তারা সবাই সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
একই আদালতে বিশ্বজিৎ দাস হত্যামামলার বিচারও চলছে, যার আসামিরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচার ১৩৫ কার্যদিবেসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে। তবে সময়সীমার মধ্যে বিচার শেষ না করতে পারলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে বিচারক সময় বাড়াতে পারেন।
জুবায়ের আহমেদ (ফাইল ছবি)
ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগ করতে হয় ওই সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে।
জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৩৭তম ব্যাচের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা হলেন মীর শাহীন শাহ পারভেজ।
এ হত্যাকাণ্ডের আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু এবং অভিনন্দন কুন্ডু অফি, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রিয়াজ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরুপ এবং রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম, ইতিহাস বিভাগের মাহমুদুল হাসান এবং মাজহারুল ইসলাম, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের নাজমুল হাসান প্লাবন।
এর মধ্যে মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।