অষ্টম শ্রেণির মতো প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও গতবারের ফলাফলকে ছাড়িয়ে গেছে এবার; পাসের হারের পাশাপশি বেড়েছে পূর্ণ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
Published : 30 Dec 2013, 09:58 AM
প্রাথমিক সমাপনীতে এবার ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ইবতেদায়ীতে ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন। আর ইবতেদায়ীতে পুর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৫৩ জন।
শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফল তুলে দেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
এই হিসাবে এবার প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ১ শতাংশ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। আর ইবতেদায়ী সমাপনীতে পাসের হার বেড়েছে তিন শতাংশ পয়েন্টের বেশি।
গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪০ জন। আর ইবতেদায়ীতে দুই হাজার ৯২০ জন পেয়েছিল জিপিএ-৫।
এবার প্রাথমিকে ৭৩ হাজার ৬০০টি স্কুল এবং ইবতেদায়ীতে ৭ হাজার ২২৮টি মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন মন্ত্রী নাহিদ। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dpe.teletalk.com.bd) থেকে ফলাফল জানা যাবে।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রাথমিক সমাপনীর ফল পাওয়া যাবে।
ইবতেদায়ীর ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফল পাওয়া যাবে ফিরতি বার্তায়।
এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৬ জন এবং ইবতেদায়ীতে তিন লাখ ১৪ হাজার ৭৮৭ জন পরীক্ষা দেয়। ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ৪৫৭ জন।
গত ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্ন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের কারণে দুটি বিষয়ের পরীক্ষা পেছানোয় পরীক্ষা শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে সমন্বিত এই সমাপনী পরীক্ষা চলছে। আর ইবতেদায়ীতে এ পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে।