রোববার সেতু ভবনে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী কাদের বলেন, “বর্তমান তফসিলে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন। হাতে আর সময় নেই। এই অবস্থায় তাদের আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।”
তবে সমঝোতার জন্য আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমেই সংকট সমাধানের পথ খুলবে। তবে এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
শনিবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, চলমান সংলাপ অব্যাহত থাকবে।
দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার সুযোগ শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘের মহাসচিবের দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগে আলোচনায় বসেন দুই প্রধান দলের নেতারা।
আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে এলে তফসিল বদলাতে পারে বলে এর আগে ইংগিত দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছিলেন, সমঝোতা হলে ‘সব কিছুই’ সম্ভব।
তবে সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এ মুহূর্তে সমঝোতা হলে কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে, তার রূপরেখাও রাজনীতিকদের নির্ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সিইসি।
গত শুক্রবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার দিন সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ‘কিছু করার’ বিষয়টি জটিল হয়ে যাচ্ছে।