চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১২৮টি সোনার বারসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
Published : 18 Nov 2013, 12:44 PM
গ্রেপ্তার খায়রুল বাশার ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দুবাই থেকে ফিরছিলেন।
বিমানবন্দর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসেন বাশার।
“বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতব্যাগ তল্লাশি করে সোনার বারগুলো পাওয়া যায়। এগুলোর ওজন প্রায় ১২ কেজি।”
সম্প্রতি ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বেশ কয়েকটি ‘সোনার চালান’ আটক করা হয়। কখনো বিমানের টয়লেটে, কখনো যাত্রীর ব্যাগে, আবার কখনো যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় সোনার বার বা গয়না।
সর্বশেষ গত শুক্রবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরব থেকে আসা এক যাত্রীর দেহ তল্লাসি করে সোয়া দুই কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের আসনের নিচ থেকে ৩৭ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। গত ২ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে মোট ৪১টি সোনার বার আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
২২ অক্টোবর দুবাই থেকে ঢাকায় আসা একটি বিমানের টয়লেটে ২৮০টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার ওজন প্রায় ৩০ কেজি।
১ অক্টোবর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে দোহা থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১৪টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এর ঠিক এক মাস আগে ১ সেপ্টেম্বর একই বিমানবন্দরে চারটি সোনার বার ও ৪১০ গ্রাম ওজনের ৬৯টি চেইনসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত অগাস্টে শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি স্পোর্টস ব্যাগের ভেতরে থেকে ১৮ কেজি ওজনের ১৫৬টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এর আগে ২০ অগাস্ট কলকাতাগামী এক ভারতীয় নাগরিকের কাছে সাড়ে সাত কেজি সোনা, আই ফোন ও বিপুল পরিমাণ মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়।
২৪ জুলাই নেপাল থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে ১২৪ কেজি সোনার বার পাওয়া যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে। তার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছে পাওয়া যায় প্রায় ১৭ কেজি ওজনের ১৪৬টি সোনার বার।
আর গত ৬ জুলাই ঢাকায় কুয়েত থেকে আসা একটি বিমানে প্রায় ২৫ কেজি সোনার বার পাওয়া যায়।