নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা দুটি মামলায় পূর্ব রেলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধাসহ আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
Published : 20 Oct 2013, 07:18 PM
রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, শুনানির নির্ধারিত দিনে পলাতক থাকায় একটি মামলায় রেলের তিন কর্মকর্তাসহ ছয়জন এবং অন্য মামলায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাসহ মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ২১ নভেম্বর আদালত এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন বলে জানান তিনি।
ফুয়েল চেকার পদে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন- ইউসুফ আলী মৃধা, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সাবেক ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান এবং অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান।
সহকারী কেমিস্ট পদে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় তিন সাবেক কর্মকর্তার পাশাপাশি নিয়োগ পাওয়া জহিরুল ইসলাম, সুলতানা বেগম ও গণেশ চন্দ্র শীলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রেলের ছয় ধরণের পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় ছটি মামলা করে দুদক।
এর মধ্যে তদন্ত শেষে চলতি বছরের অগাস্টে এদুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করার পর রোববার শুনানির দিন ঠিক করে আদালত।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি মামলা করেছে দুদক।