আইনে রিভিউর সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনেই আপীল শুনানি হওয়ায়িআব্দুল কাদের মোল্লার রায় পর্যালোচনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2013, 07:08 AM
Updated : 17 Sept 2013, 07:18 AM

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম একই কথা বললেও তাতে দ্বিমত পোষণ করেন জামায়াত নেতার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।

দুই ধরনের বক্তব্য আসার পর সচিবালয়ের সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুললে তিনি বলেন, কাদের মোল্লার আপিল করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে।

“যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিধান অনুযায়ী আপিল শুনেছেন (আপিল বিভাগ), তাই এই রায় রিভিউ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

শফিক আহমেদ বলেন, অন্য দেশে এ ধরনের অপরাধে আপিলেরও সুযোগ থাকে না।

আপিল বিভাগে বিশেষ আইন চলে না বলে যে যুক্তি আসামি পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ বিশেষ আইনে না চললেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আপিল হয়েছিল।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী  সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

এর বিরুদ্ধে দুই পক্ষই আপিল করলে আপিল বিভাগ আসামি পক্ষের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রসিকিউশনের আবেদন গ্রহণ করে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।

মঙ্গলবার এই সংবাদ সম্মেলনেই দুই মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও শফিক আহমেদ বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত হানলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় যে কোনো সময় প্রকাশ হবে প্রত্যাশা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “রায় কার্যকরের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। দণ্ডপ্রাপ্তদের বেলায় যা করণীয় তাই করা হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায় কার্যকরের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দণ্ড কার্যকরের আগে শেষ সুযোগ হিসেবে কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন বলে জানান তিনি।

“জেল কর্তৃপক্ষ তাকে (কাদের মোল্লা) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে বলবেন, এজন্য তাকে সময় দেয়া হবে।”

তিনি সেই সঙ্গে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে এ ধরনের অপরাধে মার্জনা পায় না।

আপিল বিভাগের রায়ে সন্তোষ জানিয়ে শফিক আহমেদ বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সুবিচার নিশ্চিত করতে এই রায় মাইলফলক। একাত্তরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন,  তারা প্রকৃত রায় পেয়েছেন। আপিল বিভাগ সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই রায় দিয়েছে।

“বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। এই রায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।”