মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম একই কথা বললেও তাতে দ্বিমত পোষণ করেন জামায়াত নেতার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।
দুই ধরনের বক্তব্য আসার পর সচিবালয়ের সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুললে তিনি বলেন, কাদের মোল্লার আপিল করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে।
“যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিধান অনুযায়ী আপিল শুনেছেন (আপিল বিভাগ), তাই এই রায় রিভিউ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
শফিক আহমেদ বলেন, অন্য দেশে এ ধরনের অপরাধে আপিলেরও সুযোগ থাকে না।
আপিল বিভাগে বিশেষ আইন চলে না বলে যে যুক্তি আসামি পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ বিশেষ আইনে না চললেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আপিল হয়েছিল।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
এর বিরুদ্ধে দুই পক্ষই আপিল করলে আপিল বিভাগ আসামি পক্ষের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রসিকিউশনের আবেদন গ্রহণ করে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।
“জেল কর্তৃপক্ষ তাকে (কাদের মোল্লা) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে বলবেন, এজন্য তাকে সময় দেয়া হবে।”
তিনি সেই সঙ্গে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে এ ধরনের অপরাধে মার্জনা পায় না।
আপিল বিভাগের রায়ে সন্তোষ জানিয়ে শফিক আহমেদ বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সুবিচার নিশ্চিত করতে এই রায় মাইলফলক। একাত্তরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তারা প্রকৃত রায় পেয়েছেন। আপিল বিভাগ সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই রায় দিয়েছে।
“বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। এই রায়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।”