কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আনার পর ঐশীকে কাঁদতে দেখা গেছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
Published : 01 Sep 2013, 02:55 PM
শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আনা হয়। এর আগে শনিবার সকালে ঐশী ও তাদের গৃহকর্মী সুমীকে কোনাবাড়ি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সুমী এখনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই রয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
গত ১৬ অগাস্ট এসবি পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ তাদের চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে পাওয়া যায়।
তার আগের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঐশী ১৭ অগাস্ট পুলিশের কাছে ধরা দেয়। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
File Photo
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার। দুইশ’ ধারণ ক্ষমতার এ কারাগারে বর্তমানে ২৩৯ জন নারী বন্দি ছাড়াও রয়েছে ১১জন শিশু। তাদের জন্য এখানে আলাদা ডে-কেয়ার সেন্টার রয়েছে।
শিশুদের প্রতিদিন ডিম, দুধ ও কলা দেয়া ছাড়াও আলাদা যত্ন নেয়া হয়। এখানে তাদের পড়াশোনা করানোর জন্য কারাশিক্ষকও রয়েছে। এ কারাগারে ১০ জন ফাঁসির ও ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে।