নগরকান্দার পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারের অনুপস্থিতিতেই তার বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচার শুরু করতে বলেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
Published : 14 Aug 2013, 03:47 PM
খোকনকে বুধবারের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে এর আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল এদিন ট্রাইব্যুনালকে জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও খোকন আসেননি।
এরপর বিচারক মো. আব্দুস শুকুর খানকে পলাতক খোকনের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এছাড়া আসামির আইনজীবীকে মামলার নথিপত্র সরবরাহের জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশনা দেন বিচারক।
গত ১৮ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের ১১টি অভিযোগ আমলে নিয়ে খোকনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই ১১টি অভিযোগের মধ্যে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার ঘটনাও রয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ মে চাঁদের হাটে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও এদেশীয় রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে ভাই জাফর রাজাকার মারা যাওয়ার পর তার ভাই খোকন নগরকান্দা রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বলছে, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে খোকন জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর এলাকায় প্রচার চালান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান এবং নগরকান্দা পৌর কমিটির সহ-সভাপতি হন।
প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল অভিযোগ জমা দেয়ার দিন সাংবাদিকদের বলেন, “জাহিদ হোসেন ওরফে খোকন রাজাকার একজন স্বঘোষিত রাজাকার, যে বলে, ‘আমি রাজাকার ছিলাম, আছি, রাজাকার হিসেবেই মৃত্যুবরণ করতে চাই’।”
২০১১ সালে তিনি নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক।