একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের মামলায় নগরকান্দার পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারকে আগামী ১৪ অগাস্টের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছে ট্রাইব্যুনাল।
Published : 30 Jul 2013, 12:09 PM
এর আগে গত ১৮ জুলাই খোকনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী ১১টি অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় খোকনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বহুল প্রচারিত দুটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এই নির্দেশ দিলেন বিচারক।
গত ২৩ জুন খোকনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
তাতে ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করাসহ ১১টি অভিযোগ আনা হয়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ মে চাঁদের হাটে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও এদেশীয় রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে ভাই জাফর রাজাকার মারা যাওয়ার পর তার ভাই খোকন নগরকান্দা রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বলছে, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে খোকন জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর এলাকায় প্রচার চালান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান এবং নগরকান্দা পৌর কমিটির সহ-সভাপতি হন।
প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল অভিযোগ জমা দেয়ার দিন সাংবাদিকদের বলেন, “জাহিদ হোসেন ওরফে খোকন রাজাকার একজন স্বঘোষিত রাজাকার, যে বলে, ‘আমি রাজাকার ছিলাম, আছি, রাজাকার হিসেবেই মৃত্যুবরণ করতে চাই’।”
২০১১ সালে তিনি নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক।
তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা সত্য রঞ্জন রায় ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে তিনি ৭৮ জনের জবানবন্দি নেন।