অবসরের বয়স পর্যন্ত গভর্নর থাকবেন আতিউর

সরকারের সময়ের শেষ পর্যায়ে এসে গভর্নর পদে আতিউর রহমানের মেয়াদ আরো প্রায় সাড়ে তিন বছর বাড়ানো হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2013, 09:41 PM
Updated : 4 April 2013, 07:18 AM

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এটাকে কেবল মেয়াদ বৃদ্ধি নয়, আমার কাজের স্বীকৃতি হিসাবে দেখছি।”

গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এ এম আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি গভর্নরের কার্যালয়ে পৌঁছায়।

মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “পহেলা মে, ২০১৩ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০১৬ সালের ২ অগাস্ট পর্যন্ত গভর্নর পদে আতিউর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো।”

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পান অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান। সেই হিসাবে ৩০ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দয়িত্ব নেয়ার আগে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করে আতিউর রহমান। 

নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আগের মেয়াদে হাতে নেয়া যে কাজগুলো চলমান রয়েছে, সেগুলোকে ‘সুচারুভাবে’ শেষ করার চেষ্টা করবেন তিনি।

“প্রধানত দুটি বিষয়ে আমি জোর দেব। প্রথমত, আর্থিক খাতের তদারকি ও মনিটরিং জোরদার করা হবে। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো আর একটি ঘটনাও যাতে না ঘটে সে জন্য প্রযোজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

“আর প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতে আরো গুরুত্ব দেয়া হবে।”

আতিউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালের ২৮ নভেম্বর, জামালপুরে।

মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। পিএইচডি ডিগ্রি পান ১৯৮৩ সালে৷

মাস্টার্স পড়ার সময়ই ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আতিউর রহমান। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস)৷ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন।

অর্থনীতি, কৃষি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে ২০টিরও বেশি বই লিখেছেন আতিউর রহমান।