রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ষষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য শুরু করে আস সালামু আলাইকুম বলে। আর শেষ করে জয় বাংলা স্লোগানে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাও তিনি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন।
বাংলায় স্পষ্ট উচ্চারণে তিনি বলেন, “আপনাদের দেশপ্রেম সকলের জন্য অনুকরণীয়। বিশ্ব দেশপ্রেম ও ভাষাপ্রেমের আদর্শ হিসাবে বাংলাদেশকে দেখছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সম্মাননা নেয়ার পর বিদেশি বিন্ধুদের পক্ষে বক্তৃতা দিতে এসে মিজোকামি বলেন, “বাংলাদেশের পক্ষে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এটা আমি স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারিনি। আপনাদের আতিথেয়তায় আমি অভিভূত, মুগ্ধ।”
ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী এই জাপানি অধ্যাপক জানান, একাত্তরে এ দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের কথা তিনি জাপানের পত্রিকায় লিখেছিলেন।
আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মাননা দেয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য শুভকামনা জানান। তিনি বলেন, এই দিন আমি কখনোই ভুলব না। আজকের দিনটি আমার কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মিজোকামি বলেন, “ আপনাদের সোনার বাংলা আমি তোমায়ও ভালবাসি, আপনাদের আকাশ বাতাস শত্রুমুক্ত হোক।”
একাত্তরের প্রেরণাদয়ী সেই স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন এই জাপানি বন্ধু।
তার বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে করতালিতে ফেটে পড়ে পুরো মিলনায়তন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও করতালি দিয়ে এই জাপানি বন্ধুর শুভকামনার জবাব দেন।