বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ওই এলাকায় গাড়ি, দোকানপাট, বিভিন্ন ব্যাংক ও বেসরকারি হাসপাতালে ভাংচুর চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
শিবিরকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নয় শিবিরকর্মীকে, এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ।
বিকাল ৫টার দিকে কোতোয়ালি থানার কাজীর দেউরী এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। তারা দ্রুত মিছিল করে চট্টেশ্বরী রোডের দিকে চলে যায়।
যাওয়ার পথে টেম্পো, অটো রিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন, ১০ থেকে ১২টি দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই এলাকায় শিবিরকর্মীরা যানবাহন ভাংচুর করে ও তাতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শিবির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ এলাকা থেকে এ সময় ৯ জন শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকায় কসমোপলিটন হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক, ফেনী জেলা সমিতির কার্যালয়, পূবালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকের বাইরের অংশ ভাংচুর হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর শিবিরকর্মীরা নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও যানবাহন ভাংচুর করে।
ওই সময় পুলিশ-স্থানীয় জনতার সঙ্গে শিবিরকর্মীদের মধ্যে থেমে থেমে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।
ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে।