ঢাকা, এপ্রিল ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকার উড়াল সড়ক নির্মাণের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নগদ অর্থের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্লট ও ফ্ল্যাটও পাবেন।
সোমবার এ সংক্রান্ত আইন মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আইনটি শিগগিরই জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়। আর এতেই ক্ষতিপূরণের এ বিষয়টি যুক্ত রয়েছে।
উড়াল সড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণে ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানির সঙ্গে গত জানুয়ারি মাসে চুক্তি করেছে সরকার।
চুক্তির ছয় মাসের মধ্যে উড়াল সড়কের নির্মাণ শুরু করে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তা শেষ করার কথা।
প্রেসসচিব বলেন, "প্রস্তাবিত আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হলে এ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মোট ভূমির ২০ শতাংশ ব্যক্তি-মালিকানার জমি অধিগ্রহণের জটিলতা দূর হবে।"
প্রায় ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ উড়াল সড়কটি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, সাত রাস্তা, মগবাজার, কমলাপুর, খিলগাঁও, গোলাপবাগ হয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত হবে।
মূল সড়কটি হবে ২১ কিলোমিটার। এর সঙ্গে আরো ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক থাকবে। এর একটি হবে মানিক মিয়া থেকে তেজগাঁও রেল ক্রসিং পর্যন্ত। অন্যটি পলাশী থেকে মগবাজার পর্যন্ত।
প্রকল্পের মোট জমির মোট ২০ শতাংশ ব্যক্তি মালিকানার। এর বেশিরভাগই কুড়িল, গোলাপবাগ ও কুতুবখালী এলাকায়। বাকি ৮০ শতাংশ জমিই সরকারি জমি।
আবুল কালাম বলেন, প্রকল্পের ব্যক্তি-মালিকানার জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট, ফ্ল্যাট ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ নিয়ে যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ দেবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। পিপিপির আওতায় এই ব্যয়ের ৭০ শতাংশ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে। লগ্নিকরা টাকা তুলতে ২৫ বছর পর্যন্ত টোল তুলবে ইতাল-থাই।
মুদ্রা পাচার মামলা নিষ্পত্তির তাগিদ
দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মুদ্রা পাচার সংক্রান্ত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রধানমন্ত্রী তাগিদ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেওয়া এক জন মন্ত্রী জানান।
নাম প্রকাশ করার শর্তে ওই মন্ত্রী কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, মুদ্রাপাচার বিষয়ক আলোচনায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও তার সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে বিচারাধীন মামলার কথা উঠলে প্রধানমন্ত্রী এ তাগিদ দেন।
"প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সব মামলার নিষ্পত্তি দেখতে চাই। যাদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের মামলা রয়েছে, তাদের বিচার হোক, এটা আমি দেখতে চাই", বলেন তিনি।
বৈঠকে শেয়ারবাজার নিয়ে আলোচনা হলেও এর তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ওই মন্ত্রী।
সীমান্তে হত্যা বন্ধে আলোচনার নির্দেশ
সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতীয় কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা জোরদারেরও তাগিদ দিয়েছেন হাসিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন ফোরামে আলোচনার পাশাপাশি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরকালে আলোচনায় আসবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
অন্যান্য বিষয়
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে সা