ঢাকা, জানুয়ারি ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শেয়ারবাজারে দরপতনে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা, ফার্মগেট ও মিরপুরে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে বিনিয়োগকারীরা।
বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা পুরো মতিঝিল এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। জীবন বীমা মোড়ে শত শত বিক্ষোভকারী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জীবনবীমা ভবনের কাঁচ ভাংচুর করেছে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কার্যালয় জীবন বীমা ভবনে অবস্থিত।
জীবন বীমা মোড়, ইত্তেফাক মোড় ও মতিঝিল-ফকিরাপুল সড়কে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় কাগজ-কাঠ জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম ও বগুড়াতেও ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করে।
সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম ৫৫ মিনিটে আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে মূল্যসূচক পড়ে যায় ৬৬০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট।
এর পরপরই ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলের রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। পুরো মতিঝিল এলাকা জনসমূদ্রে পরিণত হয়। এ সময় মতিঝিল এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে র্যাব ও পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে লাঠিপেটা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় চার সাংবাদিকসহ ৯ জন আহত হয়।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেয় এসইসি। বেলা ১টার দিকে এসইসি জরুরি বৈঠকে বসে।
বিনিয়োগকারীদের সরকারবিরোধী শ্লোগান, রাস্তায় কাগজ কাঠ জড়ো করে তাতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মতিঝিল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
দৈনিক বাংলার মোড়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা ইটপাটকেল নিয়ে তা পুলিশকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে।
ফার্মগেট ও মিরপুর এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদেও বিক্ষোভ করছে বিনিয়োগকারীরা। তারা সরকারবিরোধী শ্লোগান দিচ্ছে।
বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা মিরপুর ১ নম্বর গোল চত্বর ও ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করায় ওই এলাকা অচল হয়ে পড়ে। ১ নম্বর থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রোকেয়া সরণি ও টেকনিক্যাল-মিরপুর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ওদিকে লেনদেন বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পর হাজার হাজার বিনিয়োগকারী ডিএসইর সামনে ও আশপাশ এলাকার রাস্তায় নেমে আসে। এসময় পুরো মতিঝিল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ডিএসইর সামনে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশ অবস্থান নিয়ে আছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএএম/এসআইএম/এসআইটি/এজে/কেএমএস/১৪১৬ ঘ.