অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন (আপডেট)

হাইকোর্ট বুধবার চাঞ্চল্যকর অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2006, 12:44 PM
Updated : 19 July 2006, 12:44 PM

রায়ে চারজনের মৃত্যূদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত চারজনের খালাসের আদেশ বহাল রাখা হয়।

চট্টগ্রাম নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারী আপিল মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি রেজাউল হক সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাছির ওরফে গিট্টু নাছির, আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর এবং তছলিম উদ্দিন মন্টু। মামলার রায়ে মহিউদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন ও হাবিব খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্ট নিু আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম ওরফে ছোট সাইফুল ও শাজাহানকে খালাস প্রদান এবং খালাসপ্রাপ্ত আসামী অধ্যাপক ইদ্রিস মিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক জহিরুল হক, অধ্যাপক তফাজ্জল আহাম্মদ এবং নাছির ওরফে শিবির নাছিরের খালাস আদেশ বহাল রেখেছেন।

২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের জামাল খান রোডের শাওন ভবনের দ্বিতীয় তলায় চার সশস্ত্র সন্ত্রাসী অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর শয়ন কক্ষে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে।

এ হত্যাকান্ডের পর নিহতের স্ত্রী উমা মুহুরী জেলার কোতয়ালী থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উক্ত মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনাল ২০০৩ সালের ৬ ফেব্র“য়ারি নাছির ওরফে গিট্টু নাছির, আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর এবং তছলিম উদ্দিন মন্টুকে মৃত্যূদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

এছাড়া মহিউদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন, হাবিব খান সাইফুল ইসলাম ওরফে ছোট সাইফুল ও শাজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। টাইব্যুনাল অধ্যাপক ইদ্রিস মিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক জহিরুল হক, অধ্যাপক তফাজ্জল আহাম্মদ এবং নাছির ওরফে শিবির নাছিরের খালাস আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের উক্ত মৃত্যূদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এর মধ্যে মৃত্যূদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী নাছির ওরফে গিট্টু নাছির গত বছর ২ মার্চ র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সাইফুল ইসলাম ওরফে ছোট সাইফুল ২০০৪ সালের ২৯ জুন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিজ বাসায় খুন হয়। এ ছাড়া খালাসপ্রাপ্ত আসামী অধ্যাপক জহুরুল হক ও তফাজ্জল আহম্মদ মারা গেছেন। মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মহিউদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন এবং হাবিব খান এখনো পলাতক রয়েছে।

অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর স্ত্রী উমা মুহুরীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট একেএম ফয়েজ ও অ্যাডভোকেট হরি সাধন দেব ব্রাহ্মণ। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএস রমজান খান। মৃত্যূদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত চার আসামীর মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষ নিযুক্ত আইনজীবী খলিলুর রহমান ভূঁইয়া।