ধর্ষণ: বিচারিক আদালতে অব্যাহতি পাওয়া আসামিকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ

ধর্ষণ মামলায় নীলফামারীর বিচারিক আদালতে অব্যাহতি পাওয়া এক আসামিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2022, 04:52 PM
Updated : 29 June 2022, 04:52 PM

উত্তরের ওই জেলার এক কিশোরী ‘ধর্ষণের’ বিচার চাইতে বুধবার তার মাকে সঙ্গে নিয়ে হাই কোর্টে এলে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

এ মামলার একমাত্র আসামি মো. আকতারুজ্জামান একজন বিজিবি সদস্য। জেলা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৭ মে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

আকতারুজ্জামানকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নীলফামারীর আদালতের দেওয়া ওই অব্যাহতির আদেশও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।

আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড প্যানেলের আইনজীবী বদরুন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

তদন্তে অবহেলার কারণে আসামি অব্যাহতি পেয়েছে অভিযোগ করে গত ১৫ জুন হাই কোর্টের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করে নীলফামারীর সৈয়দপুরের ওই কিশোরী।

ওইদিন আদালত বসতেই এক নারীকে নিয়ে ডায়াসের (আইনজীবীরা যেখানে দাঁড়িয়ে মামলার শুনানি করেন) সামনে দাঁড়িয়ে যান তিনি। আদালত কিশোরীর পরিচয় ও উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি নিজের নাম বলে সঙ্গে থাকা নারীকে তার মা বলে পরিচয় করিয়ে দেন।

আদালত তখন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের আইনজীবী বদরুন নাহারকে মামলাটি দেখার দায়িত্ব দেয়।

আইনজীবী বদরুন নাহার জানান, মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতির আদেশ এবং মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গত রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

“আদালত শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করেছেন, একই সঙ্গে আসামিকে অব্যাহতির আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত এবং আসামিকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন।”

মামলার বিবরণে বলা হয়, নীলফামারীর সৈয়দপুরে লক্ষ্মণপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বিজিবি সদস্য আকতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর ধর্ষণের মামলা করেন এই কিশোরীর মা। মামলা তদন্তের পর গত বছর ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গত ১৭ মে আসামি আক্তারুজ্জামানকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

অব্যাহতির আদেশে বলা হয়, অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তাকে (আকতারুজ্জামান) মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। আব্যাহতির দিন বাদী মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিলে সেটিও খারিজ করে আদেশ দেয় নীলফামারীর আদালত।