পদ্মা বাঁধার জয়োৎসব

স্বপ্ন বোনার শুরুটা হয়েছিল দুই যুগ আগে; এরপর বহু পরিকল্পনা, শ্রম আর তিতিক্ষা, অনেক বিতর্ক, টানাপড়েন আর অপপ্রচার, দীর্ঘ চ্যালেঞ্জ আর প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব।

রিয়াজুল বাশারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2022, 06:20 PM
Updated : 24 June 2022, 08:29 PM

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষায়, “স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ উত্তাল পদ্মার বুকে জাতির গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।”

৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু যে কেবল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে- তাই না, পুরো দেশের সামনে খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার, যে পথ ধরে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনে সেতুর স্বপ্ন যখন পদ্মায় ভেসে যেতে বসেছিল, তখন নিজেদের টাকায় এ সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে দেশের সবচেয়ে বড় এ যোগাযোগ অবকাঠামোর উদ্বোধন করবেন তিনি। রোববার পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে চলাচলের জন্য।

এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের জন্য আজ এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন।”

স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মা পাড়ের জেলাগুলোতে চলছে সাজ সাজ রব। উৎসবের প্রস্তুতি চলছে সারা দেশে।

সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করে টোল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন ওপারে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে। পাশেই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পুরনো বাংলাবাজার ঘাটে তিনি অংশ নেবেন সমাবেশে, যেখানে ১০ লাখ লোক জমায়েতের প্রস্তুতি চলছে।

দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হবেন পদ্মাপাড়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে সাজানো হয়েছে অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে হাজার হাজার ফেস্টুনে ভরে গেছে। টোল প্লাজা থেকে পাঁচ্চর পর্যন্ত পদ্মাসেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে দেড় ডজন তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। 

পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, “ঐতিহাসিক এই জনসভা ঘিরে প্রতিটি স্থানে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা সিকিউরিটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আলাদাভাবে কাজ করছে। জনসভা শেষ হওয়া না পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব।”

উত্তাল পদ্মা, বন্ধুর যাত্রা

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। যদিও সেই স্বপ্নযাত্রার শুরুটা ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর।

৯৮ সালে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০১ সালের জুলাইয়ে পদ্মা সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর এ সেতু নিয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি। সেতুটি মাওয়ায় হবে, নাকি পাটুরিয়ায় হবে- তা নিয়েও অঞ্চলবাসীর মধ্যে বিভেদ দেখা দেয়। ২০০৪ সালে জাইকা একটি সমীক্ষা চালিয়ে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেয়।

তবে আর গতি পায়নি এ উদ্যোগে। এরপর ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় এ সেতু নির্মাণের আলোচনা ফের শুরু হয়। তখন একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নিয়ে নতুন আঙ্গিকে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। সিদ্ধান্ত হয়, সড়ক ও রেল উভয় যান পারাপার হবে এই সেতুতে; উপরে চলবে গাড়ি, নিচে ট্রেন।

সরকার গঠনের পর পুরোদমে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন এবং মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান করে সেতু বিভাগ।

কয়েক দফায় ব্যয় বাড়ানোর পর ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় পদ্মা বহুমুখী সেতু সংশোধিত নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। এর আগেই নিশ্চিত করা হয় ঋণদাতাদের প্রতিশ্রুতি।

এডিবি প্রধান উদ্যোক্তা হলেও সবচেয়ে বেশি ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘লিড ডোনার’ হিসেবে যুক্ত হয় বিশ্ব ব্যাংক।

মোট নির্মাণ ব্যয় ২৯১ কোটি ডলারের মধ্যে ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ব ব্যাংক। এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ, জাইকা ৪১ কোটি ৫০ লাখ, আইডিবি ১৪ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাকি অর্থ সরকার দেবে বলে ঠিক হয়েছিল।

এরইমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘সম্ভ্যাব্য’ দুর্নীতির অভিযোগ আনে বিশ্ব ব্যাংক। তাদের অনুরোধে কানাডায় এসএনসি লাভালিনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ। এরপর টরোন্টোতে তাদের বিচারও শুরু হয়।

পদ্মা প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে প্রাকযোগ্য তালিকায় থাকা পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের একটি ছিল কানাডাভিত্তিক লাভালিন। মূল্যায়ন কমিটির মনোনীত এই পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে একটিকে নির্বাচিত করার কথা ছিল বিশ্ব ব্যাংকের।

বিশ্ব ব্যাংকের মুখপাত্র লেসলি কুইন্টনের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে এ তদন্ত শুরু করেছে কানাডীয় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনেও মামলা হয়, তাতেও রমেশ ও ইসমাইলকে আসামি করা হয়। এর মধ্যেই মন্ত্রীর পদ ছাড়েন সৈয়দ আবুল হোসেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ছুটিতে যান সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান।

মোশাররফকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় দুদক। গ্রেপ্তার করা হয় আরও দুজনকে।

এই টানাপড়েনের এক পর্যায়ে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্ব ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার রূপরেখা জাতীয় সংসদের সামনে তুলে ধরেন। বিএনপি নেতারা তখন এ পদক্ষেপকে ‘কল্পনাবিলাস’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন।  

ছয় বছর ধরে বিচারিক কাজের পর পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ বিশ্ব ব্যাংক তুলেছিল, তার প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানায় কানাডার আদালত। ২০১৭ সালে এই মামলার তিন আসামিকে কানাডার আদালত খালাস করে দেয়।

দুদকের করা মামলায়ও আসামিদের অব্যাহতি দেয় সংস্থাটি। দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণে ‘দুর্নীতি বা ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি’।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে প্রথমটি বসে সেতুর পিয়ারে। তখনই দৃশ্যমান হয় সেতুর কিছু অংশ। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সংযুক্ত হয় মাওয়া-জাজিরা প্রান্ত।

এরপরের বছর পদ্মা সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। গত ৪ জুন সেতুর ল্যাম্পপোস্টে প্রথমবারের মতো জ্বলে বাতি। ৯ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করে আসছেন।

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, পদ্মা সেতু নিছক একটি সেতু নয়, এটা বাংলাদেশের ‘সামর্থ্য আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক’।

‘সক্ষমতার প্রমাণ’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, এ সেতুর বাস্তবায়ন বিশ্ব দরবারে দেশ ও জনগণকে আত্মবিশ্বাসের সাথে ‘মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস’ এনে দিয়েছে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়ন সরকার ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল।”

ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’- এই চিরপ্রেরণার বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে আমরা প্রমাণ করেছি আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা।”

সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন ১.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু অনন্য অবদান রাখবে।

সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশপ্রেমিক জনগণের আস্থা ও সমর্থনের ফলেই আজকে উন্নয়নের এ নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। আগামী দিনেও গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব।

“সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।”

উৎসব

শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট উদ্বোধন করবেন তিনি।

এরপর টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করবেন।

তারপর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা যাবেন সরকারপ্রধান। সেখানে তিনি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন।

এরপর শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা যোগ দেবেন।

এ উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজন নেওয়া হয়েছে পদ্মার দুই প্রান্তে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আর কাঁঠালবাড়ীর জনসভায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আসবে। 

যা মানতে হবে

পদ্মা সেতু ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা’ বলে সেতু পারাপারে কিছু নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

যার মধ্যে আছে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার সময় গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, এর বেশি গতিতে গাড়ি চলতে পরবে না।

সেতুর ওপর যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। থ্রি হুইলার (রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি দিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে না।

৫.৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালবাহী কোনো গাড়ি নিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে না। তাছাড়া সেতুর ওপর ফেলা যাবে না কোনো ময়লা।

আর কোভিড সংক্রমণ বাড়ার প্রসঙ্গ টেনে পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, “জনসভাস্থলে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে। আমরা সম্প্রতি দেখতে পেয়েছি, সারা দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে যারা জনসভাস্থলে আসবেন করোনার যে নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলো সবাইকে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।”