অর্থ পাচার: জি কে শামীমের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য রোববার

অর্থ পাচারের মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ২৬ জুন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2022, 11:30 AM
Updated : 22 June 2022, 11:35 AM

বুধবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ দিন ঠিক করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার রাষ্ট্রপক্ষে একজন পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সময় পেছানোর আবেদন করা হলে বিচারক আগামী রোববার সাক্ষ্য নেওয়ার পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন।

এর আগে শামীমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এ মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাত দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সে অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযানে যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসা শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তখন ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

ওই অভিযানের পরদিন র‌্যাব ১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেন তিনি।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। তাতে মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। একই বছর ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।