জিকে শামীমের অর্থ পাচার মামালায় সাক্ষ্য দিলেন সারওয়ার

বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের বিরদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন প্রায় তিন বছর আগে তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করা র‍্যাবের তৎকালীন নির্বাহী হাকিম মো.সারওয়ার আলম।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2022, 04:02 PM
Updated : 15 June 2022, 04:02 PM

বুধবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলায় শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি।

বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন সারওয়ার আলম।

আগামী ১৯, ২২, ২৬ ও ২৯ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল হাসান।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জিকে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সে অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযানে যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসা শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তখন ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

আদালতে সারওয়ার আলম জানান, তার নেতৃত্বে জিকে শামীমের বাসায় রেইড করা হয়। আসামির বাসা থেকে নগদ কোটি টাকা, অস্ত্র, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, কিছু চেক বই, বিদেশি কারেন্সি জব্দ করা হয়।

ওই অভিযানের পরদিন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করেন।

শামীম ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেন তিনি।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। তাতে মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। একই বছর ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।