গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ফখরুল ইসলাম ফকু, মো. আলমাস, মো. সামুন, আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ আশিক, মো. শাহিন, মো. বাবু ও মো. শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং কেরানীগঞ্জ থেকে এলাকা তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।
তাদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, দুটি চাপাতি, ডাকাতি হওয়া একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইলসহ ১৮টি মোবাইল, ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও নগদ তিন হাজার টাকা উদ্ধারের কথাও জানানো হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি ডা. সিরাজুল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ভারতীয় নাগরিক শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল মগবাজারে ডাকাতের কবলে পড়েন।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে আসা মুখোশধারী চারজন তাদের ঘিরে ফেলে। দুইজন সেই শিক্ষার্থীদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ধরে এবং অন্য দুই জন তাদের সাথে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি, নগদ ৭ হাজার ৬০০ বাংলাদেশি টাকাসহ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। তারপর ডাকাতদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা ডাকাতির ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।