খাল দখল হয়েছে ওয়াসা-পাউবোর অবহেলাতেই: আতিক

রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অবহেলাতেই ঢাকার খালগুলো দখল হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2022, 04:04 PM
Updated : 23 Jan 2022, 04:04 PM

রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় লাউতলা খালের ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের আগে খালের দায়িত্বে ছিল ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের তদারকির অভাবে খাল দখল হয়েছে।

“এসব স্থাপনা একদিনে হয়নি, এত সাহস তারা কোথায় পায়। এ দায় যারা খালের দায়িত্বে ছিলেন। খাল যখন দখল করলো, খাল যাদের অধীনে ছিল, তারা কী দেখবেন না? তাদের দেখা দরকার ছিল। তাদের অবহেলার কারণেই খালগুলো দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত অবস্থায় উপনীত হয়েছে।”

রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান চলে দিনভর। এ সময় খালের জমিতে করা একটি দোতলা ভবন গুঁড়িয়ে দেয় ডিএনসিসি। ভেঙে দেওয়া হয় দুটি চারতলা ভবন, একটি তিন তলা ভবন এবং ৪০টির মতো টংঘর।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “লাউতলা খাল যে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের, বাস্তবে তার কিছুই নেই। অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্ব‌বিলীন করে দেওয়া হয়েছে।

“প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটিকে উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে।

“নইলে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। আমি কোনো ধরনের নোটিস দেব না, ভেঙে ফেলব।”

এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।