রোববার অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম নির্বাচন থেকে দ্বিতীয় নির্বাচনে ভোটের হার কমেছে প্রায় ৭% পয়েন্ট, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় নির্বাচনে কমেছে ৬% পয়েন্ট।
আর প্রথম ভোটে আইভী যেখানে ১ লাখের বেশি ব্যবধানে জয়ী হন, সেখানে দ্বিতীয় নির্বাচনে পৌনে ১ লাখের পর এবার ব্যবধান ৬৬ হাজারে নেমে এসেছে।
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান আইভী, তার বাবা আলী আহমেদ চুনকা ছিলেন পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
২০১১ সালে নির্দলীয় নির্বাচনে আইভী দেয়াত কলম প্রতীকে ভোট পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৮টি।
সেবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই নেতা এ কে এম শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর ভোটের ব্যবধান ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৩। শামীম দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট।
সেই নির্বাচনে ভোটের হার ছিল হার ছিল ৬৯ শতাংশ।
২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে আইভী ভোট পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।
সেই নির্বাচনে আইভীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় ৭৯ হাজার ৫৬৭।
দ্বিতীয় নির্বাচনে ভোটের হার কমে দাঁড়ায় ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আইভীর ভোটও ৫ হাজারের মতো কমে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবারের তৃতীয় নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ভোটারের মধ্যে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট দেন।
আইভী নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
এবার প্রধান প্রতিদ্ব্ন্দ্বীর সঙ্গে আইভীর ভোটের ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৩৫। আর আইভীর ভোট কমেছে ১৬ হাজারের মতো।
আইভী দাবি করেছেন, অনেক ভোটার এবার ইভিএমে ভোট দিতে পারেননি, তারা ভোট দিতে পারলে তার জয়ের ব্যবধান লক্ষাধিক হত।
অন্যদিকে একই অভিযোগ তুলে তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ইভিএমে ‘ত্রুটি’ না হলে তিনিই জিততেন।