দেশের প্রথম ‘সিভিক সেন্টার’ হবে গুলশান ২ ডিএনসিসি মার্কেটের জায়গায়

দেশের প্রথম ‘সিভিক সেন্টার’ নির্মাণ করা হবে রাজধানী ঢাকার গুলশানে; যেখানে থাকবে নগরবাসীর জন্য দিনব্যাপী বিনোদনের ব্যবস্থা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2021, 01:54 PM
Updated : 15 Dec 2021, 01:55 PM

গুলশান ২ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটের জায়গায় ২০তলা এ সেন্টার গড়ে তোলার পাশাপাশি সেখানে ৩০তলা সিটি ভবন স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার এ দুই ভবন নির্মাণে স্থাপত্য নকশা বাছাইয়ের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ দুই ভবন নির্মাণের কথা জানান।

বিভিন্ন দেশে একটি সুনির্দিষ্ট বিশেষ ভবন বা কেন্দ্রে নাগরিকদের সভা, বিনোদন, খেলাধুলার ব্যবস্থা এবং সরকারি সেবা দেওয়ার ধারণা থেকে ‘সিভিক সেন্টার’ গড়ে তোলা হয়েছে। এসব ভবন বা কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন চাহিদা বা সেবা পূরণ করা হয়।  

অনুষ্ঠান শেষে মেয়র আতিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে মডেলটি প্রথম হয়েছে সেই মডেলে সিভিক সেন্টার ও ডিএনসিসি টাওয়ার করা হবে। পাশাপাশি দুটি ভবন হবে- একটি ৩০তলা সিটি ভবন এবং ২০তলা সিভিক সেন্টার।

এ দুই ভবনের নকশা প্রতিযোগিতায় মো. শরীফ ইউ আহমেদের মডেলটি প্রথম হয়েছে।

স্থপতি শাহ ফুয়াদ মোঃ সাইরাস এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের দলের তৈরি মডেলটি দ্বিতীয় এবং স্থপতি মোহাম্মদ সাইফুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ১৪ সদস্যের টিমের মডেলটি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ‘সিভিক সেন্টার’ নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির তৈরি কেন্দ্রটিই হবে প্রথম। রাজধানীর মানুষের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে এখানে।

“বড় ভবন করে দোকান বরাদ্দ দিলে ডিএনসিসির অনেক টাকা আসত। কিন্তু আমরা সে দিকে যাইনি। সিভিক সেন্টার করব, সেখানে ছোট থেকে বড় সব বয়সের নগরবাসী আসবেন, সারাদিন এখানে কাটাতে পারবেন। তাদের জন্য সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে এখানে।”

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে ‘ঢাকা উত্তর সিভিক সেন্টার ও টাওয়ার ডিজাইন’ শীর্ষক উন্মুক্ত নকশা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিক বলেন, রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটের জায়গায় তৈরি ভবনটি হবে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ভবন।

“আমাকে বলা হয়েছিল বিশ্বের নামীদামী স্থপতি দিয়ে এ ভবনের নকশা করতে। কিন্তু আমাদের দেশের স্থপতিরা বিভিন্ন দেশে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছেন। তাহলে কেন অন্য দেশের স্থপতি আনব।

“এ দেশের স্থপতিরাই এ ভবন বানাবেন। বিদেশিরা এসে দেখবেন, জানতে চাইবেন কে এই ভবন বানিয়েছেন।”

তিনি জানান, ৩৯ জন স্থপতি ও স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া নকশা জুরি বোর্ডের মাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে।