নারায়ণগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘সজীব গ্রুপ ওয়ার্কার্স জাস্টিস কমিটি’।
Published : 16 Aug 2021, 03:57 PM
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ছরোয়ার বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহত তথা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই।
“ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে যথাযথ আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি হাসেম ফুডস এ কর্মরত সকল শ্রমিকের বকেয়া বেতন, বকেয়া ওভারটাইমসহ তাদের প্রতি মাসের বেতন পরিশোধ করার দাবি জানাই।”
গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের মালিকানাধীন হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহত হন অর্ধশতাধিক।
এর আগে আরও কয়েকবার এ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শ্রমিকরা হতাহত হয়েছিলেন জানিয়ে গোলাম ছরোয়ার বলেন, “এরপরও সজীব গ্রুপ কর্তৃপক্ষ কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।”
তিনি জানান, কারখানার যে ভবনে এবার আগুন লাগে, সেখানে ফায়ার অ্যালার্ম ছিল না এবং নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পথও ছিল না।
“২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স বিভাগ থেকে অগ্নি নিরাপত্তার প্ল্যান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসেম ফুডস কর্তৃপক্ষ তা অনুসরণ করে নাই।”
গোলাম ছরোয়ার তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, সজীব গ্রুপ কর্তৃপক্ষ ‘ধারাবাহিকভাবে আইন লঙ্ঘন’ করেছে। কারখানায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধিও ‘মানা হয়নি’। এ বিষয়ে ‘স্বচ্ছ তদন্ত’ করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে কারখানার ‘অনেক শ্রমিক’ নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এ বিষয়েও তদন্তের দাবি জানান কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ছরোয়ার।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সজীব গ্রুপের কারখানায় ‘আইন লঙ্ঘন, শিশু শ্রমিক নিয়োগ, অনিরাপদ কর্মসংস্থান, বিপজ্জনক কর্মপরিবেশের’ কথা উঠে এসেছে।
সজীব গ্রুপ ওয়ার্কার্স জাস্টিস কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।