দুই বিচারকের মধ্যে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া আক্তারের মৃত্যু হয়েছে বুধবার, তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এ ছাড়া গত বছর ২৪ জুন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত (২৮ জুলাই) অধস্তন আদালতের ৩২৫ জন বিচারক ও ৬৪০ জন সহায়ক কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত বিচারকদের মধ্যে ২৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন। আর আক্রান্ত ৬৪০ জন সহায়ক কর্মচারীর মধ্যে মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৮৯ জন।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
অধস্তন আদালতের বিচারক-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হালনাগাদ এ তথ্য জানালেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যপারে কোনো তথ্য দেননি এ কর্মকর্তা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এখনও হালনাগাদ করা হয়নি। পরে জানানো হবে।”
সাইফুর রহমান যে তথ্য দিয়েছেন সেখানে দেখা যায়, খুলনা বিভাগে বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। এ বিভাগে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৭ জন কর্মকর্তা।
এর পরেই আছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ১৫ জন কর্মকর্তা চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৭, রাজশাহী বিভাগে ৬,বরিশাল বিভাগে ৪, রংপুর বিভাগে ৪, সিলেট বিভাগে ৩ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জনসহ সহ মোট ৫৯ জন কর্মকর্তা চিকিৎসাধীন।
খুলনা বিভাগে বিচারবিভাগীয় কর্মচারীদের আক্রান্তের হারও বেশি। এ বিভাগে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৬ জন কর্মচারী।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৮ জন ও বরিশাল বিভাগে ৭ জনসহ মোট ১৪৩ জন কর্মচারী চিকিৎসাধীন।