প্রদীপ কুমার শর্মা নামের ওই কর্মকর্তা সর্বশেষ সোনালী ব্যাংকের ফরেন রেমিটেন্স ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়, ঢাকায় বাসাবোর মায়াকাননে তার বাসা।
মঙ্গলবার কমিশন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, “শিগগিরই এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।”
১৯৮৪ সালে প্রদীপ কুমার শর্মা অফিসার পদে সোনালী ব্যাংকে যোগ দিয়ে পদোন্নতি পেয়ে উপ-মহাব্যবস্থাপক হয়ে ২০১৪ সালে অবসরে যাওয়া যান।
তার পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই মামলা করে দুদক, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নিয়ে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে সম্প্রতি কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে বলা হয়, প্রদীপ কুমার শর্মা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও জাল সনদে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে চাকরি করেন। বেতন, ভাতা ও বিভিন্ন ঋণ বাবদ মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা তিনি নিয়েছেন, যার মাধ্যমে ‘অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ’ হয়েছে।