অমিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকার দক্ষিণখান থানা এলাকায় তার একটি অফিস থেকে ১০২টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। সেখান থেকে পলাশ ও বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এতগুলো পাসপোর্ট রাখার অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে দক্ষিণখান থানায় রাতেই একটি মামলা হয়।
সেই মামলায় বুধবার ঢাকার আদালতে দুজনকে হাজির করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন।
তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে ১০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করলেও মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুদিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
তবে শুনানিতে আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি আবদুল বাতেন বলেন, “তারা মামলার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। তাদের এজেন্সির বৈধ লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স আছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। হয়রানি করতে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে তাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।”
অমি ‘সিঙ্গাপুর ট্রেইনিং সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
পরীমনির মামলার পর উত্তরা থেকে অমিকে গ্রেপ্তারের সময় মদ ও ইয়াবা পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ উত্তরা থানায় মাদক আইনে মামলা করে।
অমি ঢাকা বোট ক্লাবের সদস্য ছিলেন। পরীমনির মামলার পর তাকে এবং নাসির উদ্দিন মাহমুদকে সেই ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরীমনির অভিযোগ, গত ৮ জুন রাতে তাকে বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন অমি, সেখানে নাসির তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।