রোববার এক ভার্চুয়াল নাগরিক সংলাপে তার এই পরামর্শ আসে বলে এর আয়োজন সুজনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার, যা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ইসির।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন শুরুর সময় ইসিতে কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী সাখাওয়াত বলেন, “সরকারকে এ বিষয়ে আরও বিশদভাবে ভাবতে এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
“কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে চাইলে একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠন করে সম্পূর্ণ আলাদা অবকাঠামো তৈরি করে এটা করা উচিৎ।”
সাখাওয়াত হোসেনের মতে, ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে গেলে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান ইসির একটি বড় অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত হবে, যাতে ইসির স্বাধীন সত্তা খর্ব হবে।
সংলাপে অংশ নিয়ে ইসির এক সময়ের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি, কী উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে। কমিশনের হাতে থাকলে কী অসুবিধা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে গেলে কী সুবিধা? এটি পরবর্তী নির্বাচনের নতুন তরিকার পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে।”
জাতীয় পার্টি-জেপির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নিবন্ধন কমিশন নামে একটি নতুন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এই দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
এ সংলাপে আরও অংশ নেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান ও আবু সাঈদ খান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, রাজনীতিবিদ রুহিন হোসেন প্রিন্স, রাজেকুজ্জামান রতন।
সুজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুজন সম্পপাদক বদিউল আলম মজুমদার। প্রবন্ধ পাঠ করে শোনান সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।