মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সংঘর্ষে ফটো সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সেই কর্মসূচিতে ছত্রলীগের দুই দফা বাধার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পানির বোতল ছুড়াছুড়ি, হাতাহাতি, পরে মারামারি হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা গুরুতর আহত হয়েছে।
“এছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধরণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম, ইডেন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আক্তার সুমি, কর্মী পঙ্কজ নাথ সূর্য, হৃদয় হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ের সাংগাঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেঘমল্লার বসু, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সংগঠক জাবির আহমেদ জুবেল এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আসমানী আশাসহ ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগ হামলায় জড়িত নয়। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চলা অব্যাহত মিথ্যাচারের আরেকটি নমুনা আজকের এই হামলার অভিযোগ। ছাত্রলীগের সঙ্গে হামলার ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রগতিশীলতার নামে কিছু বহিরাগতরা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল। ছাত্রলীগের অনেক কর্মী, যারা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে এসেছিল, তাদের উপর ইট-পাটকেল ছুড়েছে, তাতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এবং টিএসসিতে বেড়াতে আসা সাধারণ জনগণ আহত হয়েছেন।
“ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রগতিশীলতার নামে যারা ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, জামাতের পেইড এজেন্ট, সেইসব মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”