এই মামলার অপর দুই আসামি এমদাদুল হক ও আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
বুধবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই রুবেল মল্লিক। ইব্রাহিম শিকদার স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
একই মামলায় আগের দিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম সাকিব হোসেন, সোর্স হারুন ও সিপাহী আমিনুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
তার আগে গত সোমবার এই মামলায় গ্রেপ্তার জীপন পাল ও রতন কুমার নামে দুজন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৯০ ভরি ওজনের সোনার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার লেনের এক ব্যবসায়ী কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি বাদীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে যায়। এ সময় তার কাছ থেকে ৯০ ভরি ওজনের সোনার বার, মোবাইল ও টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।