নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে ‘চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসাকর্মীদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়ার’ মামলায় জেএমআই গ্রুপের এমডি আবদুর রাজ্জাকের জামিন বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
Published : 19 Jan 2021, 01:33 PM
তার জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দন শামীমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
এদিন দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। রাজ্জাকের পক্ষে রুল শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান।
হাই কোর্ট আদেশে বলেছে, বেআইনিভাবে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের যে অভিযোগ এ মামলায় আনা হয়েছে, মামলার বিচারেই তার সুরাহা হবে। সামগ্রিক বিবেচনায় বিচারিক আদালত যে জামিন দিয়েছে, তার সাথে বিচারের কোনো সম্পর্ক নেই।
“বিচারিক আদালতের জামিন আদেশে আমরা বেআইনি বা ভুল কিছু খুঁজে পাইনি। ফলে রুলটি খারিজ করা হল। আসামি বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকবেন।”
জামিন পেলেও বিচারিক আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না রাজ্জাক। জামিনের ‘অপব্যহার’ হলে তা বাতিল করার স্বাধীনতা বিচারিক আদালতের থাকবে বলে হাই কোর্ট জানিয়েছে।
গত বছর ১৫ অক্টোবর ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আবদুর রাজ্জাককে জামিন দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই আবেদনের শুনানি করে গত ৩০ নভেম্বর রুল জারি করে হাই কোর্ট।
নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে করা মামলায় জেএমআই গ্রুপের এমডি আবদুর রাজ্জাককে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলটি খারিজ করে এখন জামিন বহাল রাখল উচ্চ আদালত।
দেশে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সিএমএসডি ৫০ লাখ এন-৯৫ মাস্কের কার্যাদেশ জেএমআই হাসপাতাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে দিয়েছিল ঔষ: প্রশাসন অধিদপ্তর।
তার মধ্যে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতের ১০ প্রতিষ্ঠানে বিতরণের পর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা।
মামলা দায়েরের পর ওই দিনই রাজ্জাককে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।