বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের কাছে তিনি সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
বিচারক আগামী ২০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষে মামলার শেষ তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সাক্ষ্য নেওয়ার দিন রাখেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার জাকির এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরপর আসামিদের আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন জসীম, খায়রুল ইসলাম লিটন ও নজরুল ইসলাম তাকে জেরা করেন।
এর আগে মামলার রায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।
অভিজিৎ রায় স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৫ সালে বইমেলা উপলক্ষে দেশে ফিরেছিলেন দুজন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছানোর পর রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তারা।
সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে নিহত হন অভিজিৎ, তার স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তার হাতের একটি আঙুল কাটা পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন অভিজিতের বাবা প্রয়াত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযাগপত্র জমা দেন মামলার সে সময়ের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
ওই বছরের ১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন। পরে গত বছরের ১ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি।
আসামিদের মধ্যে প্রথম দুজন পলাতক আছেন।