অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধ ও বৈধ সেটের নিবন্ধনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি।
Published : 25 Nov 2020, 05:06 PM
বুধবার বিটিআরসি কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বিটিআরসির পক্ষে স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল ও সিনেসিসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম কার্যক্রম চালু করতে হবে সিনেসিসকে।
এই চুক্তি ফলপ্রসূ হবে আশা প্রকাশ করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, “এই চুক্তি সকল আইন মেনে করা হয়েছে। দেশীয় কোম্পানি বলে কোনো দয়া করে সিনেসিসকে কাজ দেওয়া হয়নি, যোগ্যতার কারণেই তারা কাজ পেয়েছে। এখন তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজটা সম্পন্ন করে।”
সিনেসিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, “প্রকল্পটি পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন ও সুসম্পন্ন করা হব। চুক্তি অনুয়ায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে, অর্থাৎ ৯ জুনের মধ্যে প্রকল্প চালু করার কথা রয়েছে। আমরা মনে করি আগামী মার্চের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করতে পারব। এই জায়গায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিটিআরসির স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক সঞ্জীব কুমার সিংহ বলেন, “দেশে অবৈধ পথে মোবাইল সেট আসার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। গত এক বছরে অবৈধভাবে মোবাইল সেট প্রবেশের কারণে চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে।
“এছাড়া অবৈধ মোবাইল সেট প্রবেশের কারণে দেশের নিরাপত্তা, এই শিল্পের সার্বিক ক্ষতি এবং সেসব মোবাইল সেটে নিয়ন্ত্রিত মাত্রার বেশি রেডিয়েশনের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।”
অনুষ্ঠানে অনলাইনে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিটিআরসির উপ-পরিচালক জাকির হোসেন খান।
এনইআইআর সিস্টেম কিভাবে পরিচালিত হবে এবং গ্রাহক কিভাবে এতে সম্পৃক্ত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এনইআইআর সিস্টেমটি সরাসরি প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরের ইআইআরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। গ্রাহকদের মোবাইল ফোন সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে নিবন্ধিত হয়ে ব্যবহার উপযোগী হবে। এনইআইআর বৈধতা যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে হ্যান্ডসেটে প্রবেশের সিদ্ধান্ত দিবে।”
এই ব্যবস্থা চালু হলে বাজারে আগে থেকে গ্রাহকদের হাতে থাকা মোবাইল সেটের ভবিষৎ সম্পর্কে প্রশ্নে জাকির হোসেন বলেন, “২০১৯ সালের ১ অগাস্টের আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটররের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সকল মোবাইল সেট এবং ২০১৯ সালের ১ অগাস্টের পরে বৈধ পথে আমদানি করা এবং দেশে উৎপাদিত/সংযোজিত সকল ফোন সেটের তথ্য কমিশনে সংরক্ষিত রয়েছে। এর বাইরে যদি কোনো মোবাইল সেট থাকে সে বিষয়ে পরবর্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”