অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করেছে টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
Published : 09 Nov 2020, 04:09 PM
বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিটিআরসি সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত করে সিনেসিস আইটি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে এবং আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি করতে বলেছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি এ দরপত্র আহ্বান করেছিল।
সেনেসিস আইটি, রেডিসন টেকনোলজি ও কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড যৌথভাবে এ প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনা করবে।
বিদেশি মুদ্রায় ২৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬৯ মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশি ১০ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকা অর্থাৎ মোট প্রায় ৩০ কোটি টাকায় নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান এ প্রযুক্তি সেবা সরবরাহ করবে বলে জানান জাকির হোসেন।
অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী বছরের শুরু থেকে প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। প্রযুক্তিটি চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা এসব হ্যান্ডসেটে কোনো অপারেটরের সিমই চলবে না।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক অক্টোবরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছর শুরু থেকে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
বিটিআরসির তথ্য মতে, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের অগাস্ট নাগাদ মোট ১১ কোটি ৮২ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৩টি আইএমইআই নম্বর ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল ফোন আমদানিকারক, অপারেটর ও দেশে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য নিয়ে এ ডেটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে।
২০১৯ সালে প্রকাশিত মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (ইআইআর) নির্দেশনায় এনইআইআরের উল্লেখ রয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পরে কোনো সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন।
আরও খবর-