ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিন বাড়ল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিনের মেয়াদ আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2020, 11:52 AM
Updated : 22 Nov 2020, 11:52 AM

ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলম রোববার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

গত ২২ অক্টোবর এ মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন।

ওই দিন বজলুর রশীদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর শুনানি করে ২৯ অক্টোবর জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত।

রোববার বজলুর রশীদ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এর বিরোধিতা করেন।

তিনি বলেন, “তথ্য গোপন করে গত ২৯ অক্টোবর জামিন নেন বজলুর রশীদ। তার জামিন বাতিলের প্রার্থনা করছি। হাই কোর্টে তিনি জামিন চাইলে তা নাকচ করা হয়েছিল।”

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, বজলুর রশীদ কোনো তথ্য গোপন করেননি, তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হোক।

বিচারক তখন বলেন, “আমিতো রেগুলার কোর্ট না, চার্জের কোর্ট। নিয়মিত কোর্টে শুনানি হোক।”

মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তখন বলেন, “রেগুলার কোর্ট সাত দিনের ট্রেনিংয়ে আছে। জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করা দরকার। শর্ট টাইম দেওয়া হোক।”

শুনানি শেষে আদালত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বজলুর রশীদের জামিন বাড়ানোর আদেশ দেন। জামিন বাতিলের জন্য দুদক যে আবেদন করেছে, সেদিন তার ওপর শুনানি হবে। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও সেদিন দিন রেখেছেন বিচারক।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বজলুর রশীদকে তলব করার পর গত বছরের ২০ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে। পরে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন এ বছরের ২৬ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেখানে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে।

১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ তিনি রাজশাহীতে ছিলেন।