ইরফান ডিবিতে, আরও ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলাটি তদন্তের ভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2020, 11:20 AM
Updated : 29 Oct 2020, 11:20 AM

ধানমন্ডি থানার ওই মামলায় বুধবার ইরফান, তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক দীপুকেও আগের দিন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল।

পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহিল কাফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তিন আসামিসহ মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায়ও ইরফান ও জাহিদুলকে সাত দিন করে মোট ১৪ দিন রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৪ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত রোববার রাতে ল্যাবএইডের সামনে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় সোমবার ধানমণ্ডি থানায় ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলার আসামি সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে মঙ্গলবার ঢাকার হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে।

ওই দিনই পুরান ঢাকার দেবি দাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেলিমকে মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহারের অপরাধে দেড় বছর এবং জাহিদুলকে ওয়াকিটকির জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পুরান ঢাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মেজো ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় কারাগারে যাওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

বাড়িতে অভিযানে ইরফানের কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল ও একটি এয়ারগান উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে এবং কয়েক বোতল মদ পাওয়ায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে চকবাজার থানায়।

একইভাবে জাহিদের কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল উদ্ধারের অভিযোগে অস্ত্র আইনে এবং ৪০৬টি ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।