হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ডে কারাগারে যাওয়া ইরফান সেলিমকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2020, 12:57 PM
Updated : 27 Oct 2020, 02:30 PM

পুরান ঢাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

গত রোববার নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের পর তিনি ধানমণ্ডি থানায় ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক আশফাক রাজীব হাসান মঙ্গলবার কাউন্সিলর ইরফানকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছেন।

ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহিল কাফি সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে 'শোন এরেস্ট' দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।”

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এসআই শওকত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে বুধবার এ আবেদনের শুনানি হবে।

ইরফানকে রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে দুপুরেই এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম।

মামলাটির তদন্তভার থানা পুলিশ থেকে গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তার উপর হামলার পর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মদ্যপান ও ওয়াটকি পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছরের সাজা দিয়ে পাঠানো হয় কারাগারে। এজাহারে নাম থাকা অন্য তিন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডিতে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।

তিনি মামলায় ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজী সেলিমের প্রোটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করেছেন।

সংসদ সদস্যের ছেলে কাউন্সিলর ইরফানের শ্বশুর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এই মামলা প্রভাবমুক্তভাবে তদন্ত করা হবে।

“এখানে প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও কেউ করবে না। একজন অপরাধীকে যেভাবে বিচারের আওতায় আনা দরকার, একইভাবে তাকেও আনা হবে।”