আর তা মঙ্গলবারের মধ্যেই তা হবে বলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে বলা হয়েছে, কোনো জনপ্রতিনিধি সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।
ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধরের পর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়ি তল্লাশি করে মদ ও ওয়াটকি পাওয়ায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফানকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে তার দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল এরপর সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগটি আমাদের নথিভুক্ত হয়েছে, আমরা প্রসেস করছি। সম্ভবত আইন অনুযায়ী তাকে আজকেই (মঙ্গলবার) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করব।
“তাকে বরখাস্ত করার পর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।”
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন ইরফান।
বিদেশে লেখাপড়া করে আসা ইরফান বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের একজন।
তিনি নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতা।
প্রভাবশালী অনেক কাউন্সিলের এ ধরনের আচরণ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “আমি কোনো শ্রেণি-পেশা বা পদ-পদবিকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করব না। আমার মনে হয় বাংলাদেশে সকল পেশা সকল পদের লোকজনের মধ্যে ভালো-মন্দের দুই কাজের মিশ্রণ প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ্য করি।
“সব কাউন্সিলররা খারাপ কাজ করেন, এটা আমি মনে করি না। কিছু কিছু কাউন্সিলর দৃষ্টিকটূ, অনিয়ম এবং অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে কখনও কখনও সম্পৃক্ত হয়নি, এটা বলা যাবে না। যেটা হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
কাউন্সিলর ইরফানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত আমলে নেওয়া হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।