করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বেশি হলে মৃত্যুহার কম হতো, ধারণা তথ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা আরও বেশি হলে এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার আরও কম হত বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2020, 09:09 AM
Updated : 23 Sept 2020, 09:23 AM

করোনাভাইরাস ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে (করোনাভাইরাসে) আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার আরও কম হত যদি আরও ব্যাপকভাবে মানুষ যদি পরীক্ষা করাত।”

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক দশমিক ৪২ শতাংশ মারা যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে সেটি প্রায় জাপানের কাছাকাছি।

“সাড়ে ছয় মাসের বেশি সময় বাংলাদেশে করোনা এসেছে। এই ভাইরাস সমগ্র পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল, এখনও পৃথিবী স্বাভাবিক হয়নি। আমাদের দেশে কার্যত সবকিছু বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা না করলেও লকডাউন করা হয়েছিল, সবকিছু বন্ধ ছিল।

“পৃথিবী যখন স্তব্ধ হয়ে গেল, বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল, তখন অনেকেই শঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশে কি পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে। এখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে সেই শঙ্কার কথা অনেকে ব্যক্ত করেছিলেন, অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা নানা মত-অভিমত ব্যক্ত করেছিল।”

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রকোপ যতটা হবে বলে বিশেজ্ঞরা আভাস দিয়েছিলেন সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে সংমণের হার তার থেকে অনেক কম হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

“বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে অনেকে শঙ্কার কথা বলেছিলেন কিন্তু সমস্ত শঙ্কা-আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে, সবাইকে আশ্চর্য করে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা শুধু সচল থেকেছে তা নয়, ধাবমান গতিতে এগিয়ে চলেছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “এশিয়ার প্রায় সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশে করোনাকালে পাঁচ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা না হলে আমাদের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল, তা করা সম্ভব হতো।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শীতকালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে।

“আমি অনুরোধ জানাব, আমরা যেন এই ধারণায় না ভুগি যে করোনা চলে গেছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে করোনা আছে এবং শীতকালে সেটি বাড়তে পারে এবং স্বাস্থ্যবিধি আমাদের সবার মেনে চলা প্রয়োজন।”