পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচন ২৬ সেপ্টেম্বর

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ‘আটকে থাকা’ পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচন হবে ২৬ সেপ্টেম্বর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2020, 12:06 PM
Updated : 23 August 2020, 12:06 PM

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে রোববার বিকালে কমিশন সভায় এ উপ নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ওই সভা শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

আগ্রহী প্রার্থীরা ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। সব শেষে ভোট হবে ২৬ সেপ্টেম্বর।

পাবনার এ উপ নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। সেদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

গত ২ এপ্রিল সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার কথা থাকলেও মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব।

বাকি চার উপ নির্বাচন

ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব জানান, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ ৬ আসনের উপ নির্বাচন ১৭ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন এবং ২৮ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।  

এছাড়া ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসন এবং ৯ জুলাই সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হয়।

নির্বাচন কমিশন বলছে, আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে এ দুটি উপ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচনের আয়োজন করা হবে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।

এর আগে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনেও প্রথম ৯০ দিনে না পারায় পরের ৯০ দিনে উপ নির্বাচন করেছিল ইসি।

গত ১৪ জুলাই ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে যশোর-৬ আসনে ভোট পড়ে ৬৩.৫ শতাংশ। আর বগুড়া-১ আসনে ভোট দিয়েছেন ৪৫.৫ শতাংশ ভোটার।

মার্চের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২১ মার্চ তিনটি উপ নির্বাচন হয়। তখন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬৯ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে মাত্র ৫% ভোট পড়ে।