আবাসন ব্যবসায়ী খায়ের হত্যায় স্ত্রীর ভাই গ্রেপ্তার

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়েরকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীর বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2020, 11:37 AM
Updated : 9 August 2020, 11:37 AM

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মো. মিলন নামের ৪৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে শনিবার গুলশান এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

“গ্রেপ্তার হওয়ার পর মিলন আদালত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। খায়ের ব্যবসায় ঠকাচ্ছিলেন, এই ধারণা থেকে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।”

৫২ বছর বয়সী আবুল খায়ের ছিলেন সজীব বিল্ডার্স নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জালাল গার্ডেনের ২১ নম্বর রোডের একটি বাসায় তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন।

শুক্রবার সকালে আবাসিক এলাকার এম ব্লকে ওই কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার লাশ পাওয়া যায়। মাথার পেছনে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয় বলে সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল।

নিহত আবুল খায়ের

আবুল খায়েরের মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন থানায়।

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিলন রড বাইন্ডিংসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজে শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদারি করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি আবুল খায়েরের সঙ্গে কাজ শুরু করেন।

“মিলন মনে করেন, ভগ্নিপতি আবুল খায়ের তাকে ঠকিয়েছেন। খায়েরের কাছে ৮ লাখ টাকা পাওনা ছিল তা। ওই টাকা চাওয়ায় খায়ের তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন।

“সেই ক্ষোভ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ফোনে করে খায়েরকে ওই নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান মিলন। তিনি বলেছেন, পেছন থেকে রড দিয়ে আবুল খায়েরের মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেছেন তিনি।”

তবে এই হত্যাকাণ্ডে মিলন ছাড়াও অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খায়েরের ছোট ভাই দৈনিক যায়যায়দিনের নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল বারী বাবলু।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের এক সময় ঠিকাদারিতে যুক্ত ছিলেন। বছর দশেক আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কোম্পানির নাম ‘সজীব বিল্ডার্স’ রাখেন নিজের ছেলের নামে। তার মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা একটি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।

আবুল খায়ের মৃতদেহ শনিবার নোয়াখালীতে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।