শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, প্রতিটি পরিবার দুই হাজার টাকা করে সহায়তা পাবে।
জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও সুনামগঞ্জ জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি উপজেলায় এই সহায়তা দেওয়া হবে। পরিবারগুলোর কাছে এই টাকা পাঠানো হবে বিকাশের মাধ্যমে ।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, “যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক। ঘূর্ণিঝড় আইলা, মহাসেন, আম্পানের সময়েও ব্র্যাকের কর্মীরা দুর্গত এলাকাগুলোতে নিরলসভাবে সেবা দিয়েছেন। এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতেও আমরা আর্থিক সহায়তা দেব, যাতে দুর্গত মানুষেরা তাদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারেন।”
এই বিপন্ন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সহানুভূতিশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আরও বেশি সংখ্যক পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে তহবিল সংগ্রহের একটি উদ্যোগও গ্রহণ করেছে ব্র্যাক।যার বিস্তারিত পাওয়া যাবে ব্র্যাকের ওয়েবসাইটে।
বন্যার ক্ষতি তুলে ধরে আসিফ সালেহ বলেন, এ পর্যন্ত ৩১ জেলার ৪৭ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যার মধ্যে জামালপুর জেলার সবচেয়ে বেশি এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে।
“বন্যার পানিতে ডুবে ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রায় দশ লাখ বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় ৯০ হাজার মানুষ ৭৬ হাজার গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নিয়েছেন।”